I think ... - ব্যখ্যাhttps://blog.kmonsoor.com/2024-02-24T00:00:00+06:00সহজ বাংলায় Analysis Paralysis2024-02-21T00:00:00+06:002024-02-24T00:00:00+06:00Khaled Monsoortag:blog.kmonsoor.com,2024-02-21:/sohoz-banglay-analysis-paralysis/<p>Analysis paralysis মানে টা কি? আমারও কি এই অসুখটা আছে?</p><p><strong>Self-link</strong>: <a href="http://go.kmonsoor.com/analysis-paralysis-bn">go.kmonsoor.com/analysis-paralysis-bn</a></p>
<p>ছোটবেলায় মা খালাদের দেখতাম গাউসিয়া মার্কেটে একবার না গেলে রোজার ঈদের শপিং পরিপূর্ণ হতো না।
সাথে গেলে দিন শেষে, ৩/৪ ঘণ্টা মার্কেটে প্রচণ্ড ঘুরাঘুরির পরে একটা কোন আইসক্রিম (বাজারে তখন নতুন) জুটতো :)</p>
<p>কিন্তু প্রচণ্ড বিরক্ত লাগত একটা জামা আর দুইটা উরনা কিনতে কেনো বিশটা দোকান ঘোরা লাগবে? এক দোকানে হাজারটা ডিজাইনের জামার ভিতরে একটাও কিভাবে পছন্দ না হয়?</p>
<p>রোগের নাম, অ্যানালাইসিস প্যরালাইসিস (Analysis paralysis)। </p>
<hr>
<p>শুধু আমার মা খালা না, জাতি, ধর্ম, বয়স, লিঙ্গ ভেদে বেশির ভাগ মানুষই এই “রোগে” আক্রান্ত। আর এই রোগের প্রভাব শুধু আমাদের ব্যক্তি জীবন না, দাম্পত্য, সন্তান-লালন, চাকরি, ব্যবসা, ধর্ম-কর্ম সবকিছুতেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। </p>
<p>ধরেন, আপনি স্ট্রবেরি ফ্লেভারের আইসক্রিম পছন্দ করেন, তো সাধারণ দোকানে গিয়ে চাইলে ওদের কাছে থাকা দুইটা দামের আছে, আপনি অনেকদিন পরে আইসক্রিম খাচ্ছেন, বেশি দামেরটাই নিলেন। দুই মিনিটে কাজ শেষ।</p>
<p>এবার ধরেন, আপনি এমন একটা আইসক্রিমের দোকানে গেলেন, সেখানে হাজারো আইসক্রিমের ফ্লেভার। পনেরো ধরণের স্ট্রবেরি ফ্লেভারের আইসক্রিম, প্রতি ফ্লেভারের আবার কাঠি, কাপ আর কোন তিন ধরণের আছে, তিন দামের। এখন আপনি চিন্তায় পরে গেলেন, সেরা কোনটা হবে, কোনটা খেলে নতুন একটা স্বাদও পাওয়া যাবে, আবার খুব ভালোও লাগবে।
ইন্টারনেটে খুঁজলেন “best strawberry flavor”, দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলেন, সে তার নিজের মতামত দিলো, বা সবচেয়ে দামিটার কথা বললো। আপনি দোকানে দাঁড়িয়ে (বা বসে) পনেরো মিনিট ধরে ভাবছেন। এটাই এনালাইসিস প্যরালাইসিস।
তারপরে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে, নিজের উপরে বিরক্ত হয়ে, হুট-হাট একটা কিনে নিয়ে বের হয়ে গেলেন।</p>
<p>অ্যানালাইসিস প্যরালাইসিস (Analysis paralysis)। </p>
<hr>
<p>নারী, পুরুষ সবাই এই অসুখে ভোগেন। জামাকাপড় কিনতে, ছেলের জন্য পাত্রী দেখতে, আধুনিক উপায়ে “ভালবাসার মানুষ” খুঁজতে … “ঈশ যদি এই খুঁতটা না থাকতো, সেরম হতো”, “আচ্ছা, আরেকটু দেখি”, “যদি বেস্টটা মিস হয়ে যায়?”
আমার অভিজ্ঞতায় দেখা যে এই অসুখে ভুক্তভোগীরা সবশেষে যেটা বাছাই করে, সেটা ভদ্র ভাষায় বললে “না একূলের, না ওকূলের”। অথচ, এর আগে তার হাতে অনেক দিক দিয়ে ভালো অনেক অপশন এসেছিলো।</p>
<p>এদের শেষ সম্বল দাঁড়ায় “তকদিরে ছিলো”, “কপালে লেখা থাকলে কি করবো”, “দোকানদাররা এতো বাটপার”, “দেশ নষ্ট হয়ে গেছে”, ইত্যাদি।</p>
<p>যাই হোক, এই রোগ থেকে বের হয়ে আসার উপায় কি?</p>
<hr>
<p>সবার আগে, একটা বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। যে রোগ ত্রিশ বছর ধরে আপনার ভেতরে বড় হয়েছে, সেটা আপনি দুই দিনে সারিয়ে তুলতে পারবেন না; একটা প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হবে। ধীরে ধীরে অভ্যাস পালটাতে পারবেন।</p>
<p>আমি প্রক্রিয়ার ধাপ গুলা বুঝানোর জন্য একটা উদাহরণ ব্যবহার করবো।
- আপনার ৬ বছর বয়সী মেয়ে সন্তানের জন্য ঈদের জামা কেনা লাগবে একটা।</p>
<ol>
<li>
<p>নতুন কিছু কেনা বা সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে (যেমন: পাত্রী দেখা), বাজেট নির্দিষ্ট করুন। টাকা এবং সময়ের।<br>
যেমন: আমি এই মার্কেটে ঢুকে এক ঘণ্টার ভিতরে এক হাজার টাকার ভিতরে জামা কিনে বের হয়ে যাবো।</p>
</li>
<li>
<p>খোঁজ শুরুর আগেই, মনে মনে কিছু দিক (criteria) নির্দিষ্ট করে রাখেন। বা, কোথাও লিখে রাখেন।<br>
জামা হাল্কা নীল রঙের, কিছুটা পুঁতির কাজ ইত্যাদি।</p>
</li>
<li>
<p>এবার এমন জায়গাতে খোঁজেন যেখানে আপনি জানেন, আপনার সমস্যার সমাধান বা যা কিনতে চাচ্ছেন, তা পাওয়া যাবার সম্ভাবনা খুব বেশি।<br>
যেমন, এদিক ওদিক দোকানে না ঢুকে, বাহির থেকে বেশিরভাগ বাচ্চাদের জামা কাপড় দেখা যাচ্ছে, মোটামুটি ভালো মানের এরকম একটা দোকানে ঢুকে দোকানদারকে বলেন, আপনার কাছে ৬-৭ বছরের বয়সী মেয়েদের হাল্কা নীল রঙের কি কি জামা আছে দেখান। পুঁতির কাজের কথাটাও বলতে পারেন। আশেপাশে যত গুলা জামা কাপড় ঝুলানো, দেখার দরকার নাই, যদি না ওখানে নীল কোন জামা থাকে।</p>
</li>
<li>
<p>যদি সেই জায়গাতে প্রথমে খুঁজলেন, সেখানেই বেশ কিছু অপশন পাওয়া যায়, সেগুলা বিবেচনা করেন।<br>
জামার ক্ষেত্রে, আপনার মোটামুটি পছন্দ হয়েছে, এরকম তিনটা জামার দাম জিজ্ঞেস করেন। আপনার বাজেট দোকানদারকে বলার দরকার নাই, আপনার সবচেয়ে পছন্দের দুইটা দামাদামি আট, নয়শ টাকায় নিয়ে আসেন, না দিলে ফাইনালি ১০০০ টাকা বলে বের হয়ে আসেন। আর ফিক্সড প্রাইসের দোকান হোলে এই ধাপ পুরাপুরি বাদ দিতে পারেন।</p>
</li>
<li>
<p>যদি প্রথম জায়গাতে না মিলে, আরেকটা জায়গাতে দেখেন, যেটা সম্ভাবনার দিক দিয়ে দ্বিতীয়।<br>
জামার ক্ষেত্রে, এরকম আরেক বা দুইটা দোকানে দেখেন। তিন দোকানেও যদি আপনার বাজেট অনুযায়ী না মিলে, ১ম বা ২য় ধাপে ফিরে যান। হয়তো, মার্কেটের তুলনায় আপনার বাজেট অনেক কম, অথবা এইটা ভুল মার্কেট। </p>
</li>
<li>
<p>পৃথিবীতে কেউ বা কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি মুক্ত না। আপনি যত টাকা আর সময় খরচ করেই কোন কিছু পেতে চান না কেন, আজ না হয় কাল, আপনি এর ভিতরে ত্রুটি খুঁজে পাবেনই। </p>
</li>
</ol>
<hr>
<p>Perfection is an illusion. Look for “good enough” for the purpose. <br>
এজন্য মনের সন্তুষ্টি আপনার কাছে; সব সময়ই আপনার থেকে ভালো জিনিস অন্যের কাছে থাকবে। আপনি যদি সবসময়ই নিজেরটা অন্যের সাথে তুলনা করেন, আপনার এই অভাব কেউ কোনকিছু দিয়েই পূরণ করতে পারবে না।</p>
<p>ইসলামের পরিভাষায়, তাকদিরে বিশ্বাস (অর্থাৎ, যা পেয়েছেন, তা আল্লাহ্ তাআলার পক্ষ থেকে) ঈমানের একটা স্তম্ভ।
এজন্যে “যার অন্তর অভাবমুক্ত হয়ে যায়, তার দুই হাতও অভাবমুক্ত হয়ে যায়। আর যার অন্তর দরিদ্র হয়ে যায়, তার ধনাঢ্যতা তাকে কোন উপকার করতে পারে না।”</p>
<p>হিন্দু ধর্মে “আশুতোষ” নামটিও এসেছে “অল্পে তুষ্টি” থেকে।</p>
<p>মার্ক টোয়াইনের ভাষায় “Comparison is the death of joy.”</p>
<p>তো এই গুন যদি আপনি একবার অর্জন করতে পারেন, আপনার ৬ বছরের মেয়ে আপনার কাছে নয়শ টাকার নীল জামাতেই পরীর মতো সুন্দর লাগবে; আপনার ভালবাসার আলোতে ।<br>
আর না থাকলে, আপনি মেয়ের জন্য কলকাতা থেকে আনা ষাট হাজার টাকার লেহাঙ্গাতেও সেই সন্তুষ্টি পাবেন না। ❤</p>সহজ বাংলায় Scalability এর একটা উদাহরণ2024-01-22T00:00:00+06:002024-01-22T00:00:00+06:00Khaled Monsoortag:blog.kmonsoor.com,2024-01-22:/sohoz-banglay-scalability-example-1-bn/<p>আপনার কোম্পানি যে ইমেইল পাঠাচ্ছে, সেটা কি scalable?</p><p>সিঙ্গাপুরের Grab এ থাকতে আমার একবার বস ছিল অরুণ নামের এক ইন্ডিয়ান।</p>
<p>জয়েনের কিছুদিন পরে, বসের কাছে কমপ্লেন গেলো যে খালেদ এই কাজ টা এমনে করে না, অমনে করে। বস আমাকে উইকলি মিটিং এ জিজ্ঞেস করলো, অমনে করো কেনো? আমি বললাম, এই এই কারণে অমনে করি।
সে আমাকে এক কথায় উত্তর দিলো যেটা আমার কানে এখনও বাজে। সে বলছিল, “তোমার উদ্দেশ্যটা ভালো, কিন্তু এটা scalable না”।
বেশি ব্যাখ্যা করা লাগে নাই, কারণ হোল আমরা দুজনেই জানতাম যে আমার ২৫+ টা টীমের সাথে কাজ করা লাগে, আমি যেভাবে আগাচ্ছিলাম, সেভাবে পাঁচ সাতটা টীমের সাথে হয়তো কাজ ম্যানেজ করা যেতো, কিন্তু ২৫ টা না।</p>
<p>আমাদের দেশের আইটি সেক্টরের বিভিন্ন উদ্যোগেও আমি এই ব্যপারটা খেয়াল করি খুব বেশি রকম, “উদ্দেশ্যটা ভালো, কিন্তু scalable না”
কি দেখে হঠাত এই কথা মনে আসলো সেইটা বলি।</p>
<p>ব্র্যাক ব্যাংক একটা মেইল পাঠিয়েছে, সিস্টেম মেইনটেনেন্সে সার্ভিস কিছুক্ষণ বন্ধ থাকবে এইটা হোল বিষয়। ইমেইলে বডিতে কোন টেক্সট নাই, খালি একটা ইমেজ। ভালো কথা। টেক্সট অনেকে পড়তে চায় না, ইমেজ দিলে খেয়াল করে পরবে। অনেকের মোবাইলে বাংলা ঠিকমতো দেখায় না, সেটাও একটা বিষয়। তো “উদ্দেশ্যটা ভালো”।
কিন্তু সাধারণ এই ইমেজ এর সাইজ ৩ মেগাবাইট (ধরেন, ৩০০০ কিলোবাইট), যেই ইমেজটা ৫০ কিলোবাইট হলেও একই লেখা প্রায় একই রকম দেখা যেতো। পার্থক্যটা খালি চোখে ধরা কঠিন। মানে প্রয়োজনের তুলনায় ৬০ গুন বড়।
এখন আসেন scalability বিবেচনা করি । </p>
<p>ব্র্যাক ব্যাংক এর কাস্টমারের সংখ্যা যদি হয় ৫ লক্ষ, এই একটা মেইল পাঠাতে ব্যাংকের মেইল সার্ভার (edm. bracbank .com) থেকে “Data Out” ট্রাফিক জেনারেট হয়েছে (৩ মেগাবাইট x ৫,০০,০০০) = ১৫০০ গিগাবাইট।
আর ইমেজটার সাইজ যদি হতো ৫০ কিলোবাইট, এই একই কাজটা হয়ে যেতো ২৬ গিগাবাইট মতো ডাটা ট্রাফিকে, মানে ৬০ ভাগের এক ভাগ, আর পুরো ব্যাচ ইমেইল পাঠানো শেষ হতো ৬০ গুন দ্রুত।</p>
<p>এখন বলতে পারেন, ব্যাংকের টাকা আছে খরচ করুক। সেটা এক কথা, কিন্তু আরেকটা সাইড ভাবেন।</p>
<p>বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ ইন্টারনেট চালায় মোবাইলে। অর্থাৎ, এই গুরুত্বপূর্ণ ইমেইল টা দেখতে যে ৩ মেগাবাইট বাড়তি খরচটা হোল, ধরেন ১০০০ গিগাবাইট, এর বড় একটা অংশ গেলো মোবাইল কোম্পানিগুলার পকেটে।
আবার, বাংলাদেশের বেশির ভাগ জায়গাতে ইন্টারনেটের যে অবস্থা, এই মেইল লোড হতে সময় নিবে ১০ সেকেন্ড, যেটা কিনা এক সেকেন্ডএর ও কম সময়ে করা যেতো।</p>
<p>এবার ধরেন, ইমেজটার সাইজ হোল ১০ মেগাবাইট, ৩ মেগাবাইটের বদলে। কি সমস্যা?
“scalable না”, এই আরকি।</p>সহজ বাংলায় vice versa মানে2021-12-15T07:30:00+06:002021-12-15T07:30:00+06:00Khaled Monsoortag:blog.kmonsoor.com,2021-12-15:/সহজ-বাংলায়-vice-versa-মানে/<p>ইংরেজি ভাষায় বেশ কিছু শব্দ, বাক্য কিংবা বাগধারা ব্যবহার করা হয়, যেটার বাংলা ভাষায় এক শব্দে কোনও অনুবাদ নেই। বা থাকলেও সাধারণ মানুষের জন্য খুব খটমটে। এরকম একটি শব্দগুচ্ছ হোল “vice versa” যেটি ল্যাটিন ভাষা থেকে এসেছে। …</p><p>বাংলা আক্ষরিক অর্থ: “তদ্বিপরীত”, বা “উলটা ভাবে” ।<br>
“vice versa” শব্দগুচ্ছটি সতেরো-শতকের গোড়ার দিকে ল্যাটিন থেকে ধীরে ধীরে সরাসরি ইংরেজিতে “the other way around” বোঝাতে ব্যবহার করা হচ্ছে। </p>
<p>এটি সাধারণত একটি বাক্যের দ্বিতীয় অংশে ব্যবহার করা হয়, এবং বাক্যের প্রথমাংশে যে দুটি জিনিসের সম্পর্ক নিয়ে বলা হয়েছে, “vice versa” ব্যবহার করে তার বিপরীত দিকের সম্পর্কটিকে বোঝানো হয়।</p>
<p>যেমন: </p>
<blockquote>
<p>“John doesn’t like Tom, and <ins>Tom also doesn’t like John</ins>.” <br>
অর্থাৎ,
“জন টমকে পছন্দ করে না, আর টমও জনকে পছন্দ করে না।” </p>
</blockquote>
<p>ইংরেজিতে ঠিক এই কথাটিকেই সুন্দর এবং সংক্ষেপ করে লেখা যায় … </p>
<blockquote>
<p>“John doesn’t like Tom, and <ins>vice versa</ins>.” </p>
</blockquote>
<p>এবার বাংলা থেকে ইংরেজি করার একটি উদাহরণ দেই ।</p>
<blockquote>
<p>“পারুর পরিবার দেবদাসকে চাইলেও দেবদাসের পরিবার কিন্তু পারুকে চায় নি।”<br>
ইংরেজিতে আক্ষরিক অনুবাদ করলে দাড়ায় …<br>
“Paru’s family wanted Devdas, but <ins>Devdas’ family didn’t want Paru</ins>.” </p>
</blockquote>
<p>কিন্তু “vice versa” ব্যবহার করে একই কথা বেশ সংক্ষেপে আর প্রাঞ্জলভাবে লেখা যায় … </p>
<blockquote>
<p>“Paru’s family wanted Devdas, but <ins><strong>not</strong> vice versa</ins>.” </p>
</blockquote>সহজ বাংলায় silver lining এর মানে2021-12-02T01:30:00+06:002021-12-02T01:30:00+06:00Khaled Monsoortag:blog.kmonsoor.com,2021-12-02:/সহজ-বাংলায়-silver-lining-এর-মানে/<p>ইংরেজি ভাষায় বেশ কিছু শব্দ, বাক্য কিংবা বাগধারা ব্যবহার করা হয়, যেটার বাংলা ভাষায় এক শব্দে কোনও অনুবাদ নেই। বা থাকলেও সাধারণ মানুষের জন্য খুব খটমটে। এরকম একটি concept বা ধারণা হোল “silver lining”। …</p><p>“Silver lining” এর সরাসরি(শাব্দিক) অনুবাদ করলে দাড়ায় “রূপালি আস্তরণ”, যা প্রকৃত অর্থের ধারেকাছেও না।
“Silver lining” আসলে একটা বহুল-প্রচলিত বাগধারার(“Idiom”) সংক্ষিপ্ত রূপ। ইংরেজিতে বাগধারাটি হলো “Every cloud has a silver lining” যার ভাবার্থ বাংলায় করা হয় “দুঃখের পরে সুখ আসে”। আরেক ভাবে অর্থ করা হয় যে “প্রত্যেক বিপদ-আপদের কিছু ভালো দিকও থাকে”।
এজন্য শুধু “silver lining” দিয়ে কোনও বিপদাপদ বা ক্ষতিকর জিনিসের সাথে আসা ভালো বা উপকারী দিকটিকেও বুঝানো হয়।</p>
<h2 id="_1">উদাহরণ<a class="headerlink" href="#_1" title="Permanent link">¶</a></h2>
<p>(সব চরিত্র কাল্পনিক)</p>
<p><strong>১.</strong><br>
<em>ডেভিড</em>: Losing my job had a silver lining. (“আমার চাকরি যাওয়ায় একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে।”)<br>
<em>মারিয়া</em>: How so? (“কিভাবে?”)<br>
<em>ডেভিড</em>: Not having the extra money helped me quit smoking, finally. (“বাড়তি পয়সা না থাকায় আমার ধূমপানের অভ্যাসটা এবার বাদ দিতে পেরেছি।”) </p>
<p><strong>২.</strong><br>
<em>দুখু মিয়া</em> : My dad got sick. What’s the silver lining in that, Asha? (“আমার বাবা অসুস্থ। আশা, এতে ভালো কি থাকতে পারে?”)<br>
<em>আশা</em> : Of course, there is. For example, this situation is going to make you more responsible. (“অবশ্যই আছে। যেমন: এই পরিস্থিতিতে তুমি আরও দায়িত্বশীল হয়ে উঠবে।”)</p>
<hr>
<p>যদি লেখাটি শেয়ার করতে চান, ব্রাউজারের লিংকটি শেয়ার করতে পারেন, অথবা নিচের ইমেজটি ডাউনলোড করেও শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ !</p>
<p><img alt="what silver-lining means in easy Bengali" src="https://i.imgur.com/C86jng8h.png"></p>সহজ বাংলায় ad hominem এর মানে2021-11-25T00:00:00+06:002021-11-25T00:00:00+06:00Khaled Monsoortag:blog.kmonsoor.com,2021-11-25:/সহজ-বাংলায়-ad-hominem-এর-মানে/<p>ইংরেজি ভাষায় বেশ কিছু শব্দ বা ধারনা অন্য কোনও ভাষা থেকে সরাসরি ব্যবহার করা হয়, কিন্তু বাংলা ভাষায় সেই শব্দ বা ধারনাটির এক শব্দে কোনও অনুবাদ নেই। বা থাকলেও সাধারণ মানুষের জন্য খুব খটমটে। এরকম একটি concept বা ধারণা হোল “ad hominem” যেটি ল্যাটিন ভাষা থেকে এসেছে। …</p><hr>
<h1 id="ad-hominem-attack">ad hominem (attack)<a class="headerlink" href="#ad-hominem-attack" title="Permanent link">¶</a></h1>
<p>ল্যাটিন ‘<em>argumentum ad hominem</em>‘ এর ইংরেজিতে আক্ষরিক অনুবাদ হয় ‘<em>to the person</em>‘। </p>
<p>কিন্তু ইংরেজিতে সাধারণত সরাসরি “<em>ad hominem</em>” তার সাথে “<em>attack</em>” যোগ করা হয়।<br>
যেমন: some members attacked him ad hominem; instead of discussing his proposal, they were talking about how poor he grew up. </p>
<p>যদিও বাংলায় এটাকে “ব্যক্তিগত আক্রমন” বলে লেখা যায়, কিন্তু তাতে পুরোপুরি অর্থটা প্রকাশ পায় না। বরং কারো কোনও একটি প্রস্তাব, মতামত বা যুক্তিকে পাশ কাটাতে দ্বিতীয় কোনও ব্যক্তি সেই প্রস্তাব (বা মতামত) নিয়ে আলোচনা না করে, বরং সেই প্রথমজনকে ব্যক্তিগত (কিন্তু সেই মতামতের সাথে কোনও সম্পর্ক নেই) একটা বিষয়ে সমালোচনা করে, সেটাই “ad hominem” আক্রমণ । সেই ব্যক্তিগত আক্রমণের বিষয়টি সত্য বা মিথ্যা হতে পারে।</p>
<h2 id="_1">উদাহরণ :<a class="headerlink" href="#_1" title="Permanent link">¶</a></h2>
<p>(সব চরিত্র কাল্পনিক)</p>
<p><strong>১.</strong><br>
<em>জয়নাল:</em> চীন আমেরিকাকে ঠকায় ১৯৮০ সালের চুক্তিতে ট্রেড সুবিধা পেয়ে।<br>
<em>দিলারা:</em> জয়নাল তো ঠিকমতো ইনকাম ট্যাক্স দেয় না। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কি বুঝে? (<em>ad hominem</em> আক্রমণ) <br>
<em>রেবেকা:</em> ১৯৮০ সালের চুক্তির পরে তো চীনে আমেরিকার ভুট্টা রপ্তানি বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে, তাহলে? (যুক্তি খণ্ডন, কিন্তু <em>ad hominem</em> আক্রমণ নয়) </p>
<p><strong>২.</strong><br>
<em>সলিমুদ্দিঃ</em> শুনেছি, রোজা রাখা শরীরের জন্য ভালো ।<br>
<em>কলিমুদ্দিঃ</em> ধুর মিয়া, আপনে নামাজই তো পড়েন না ঠিকমতো, রোজার কি জানেন? (<em>ad hominem</em> আক্রমণ)<br>
<em>রহিমুদ্দিঃ</em> যাই হোক, রোজা রাখলে শরীর তো খুব কাহিল লাগে। (প্রাসঙ্গিক আলোচনা, কিন্তু <em>ad hominem</em> আক্রমণ নয়) </p>
<hr>
<p>যদি লেখাটি শেয়ার করতে চান, ব্রাউজারের লিংকটি শেয়ার করতে পারেন, অথবা নিচের ইমেজটি ডাউনলোড করেও শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ !</p>
<p><img alt="ad-hominem means in easy Bengali" src="https://i.imgur.com/tM1dXmsh.png"></p>